এক শিশু শিল্পী ঘুমের ঘোরে ঠিক মতো অভিনয় করতে না পারায় পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালির ক্ষোভের শিকার হলে আলিয়া শিশুশিল্পীকে অভিনয়ের কৌশল শিখিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন আলিয়া।
এক শিশু শিল্পী ঘুমের ঘোরে ঠিক মতো অভিনয় করতে না পারায় পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালির ক্ষোভের শিকার হলে আলিয়া শিশু শিল্পীকে অভিনয়ের কৌশল শিখিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন আলিয়া।

সিনেমার শুটিং স্পটে বলিউড চিত্রপরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালির ক্ষোভ থেকে একটি শিশু শিল্পীকে বাঁচালেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। সম্প্রতি এমন সত্য মিডিয়ায় সামনে তুলে ধরেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সীমা পাহওয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়িসিনেমার শুটিংয়ে ঘটনা ঘটে।

ওই সিনেমায় আলিয়ার সঙ্গে শুটিং স্পটে সহকর্মী অভিনয়শিল্পী হিসেবে ছিলেন সীমা। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সীমা জানান, ওই ঘটনার পর তারকাসন্তান হিসেবে আলিয়া সম্পর্কে তার যে ধারণা ছিল সবটাই বদলে যায়।

সীমা বলেন, এক মধ্যরাতেগঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়িসিনেমার শুটিং হচ্ছিল। গভীর রাত তিনটা। ওই সময় একটা মেয়ে শিশুর দৃশ্যের শুটিং চলছিল। দৃশ্যটা এমন ছিল যে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে সংলাপ বলছে।

সীমা আরও বলেন, মধ্যরাতে শিশুশিল্পীটি সত্যি বারবার ঘুমিয়ে পড়ছিল। আর কারণে ঘুমের মধ্যে কখন সংলাপ বলবে -- সেটা বুঝতেই পারছিল না। পরিস্থিতি দেখে পরিচালক বেশ চটে যান। চিৎকার করে বলতে থাকেন, কেন বার বার ঘুমিয়ে পড়ছে?

আলিয়ার প্রশংসা করে সীমা বলেন, ওই সময় শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আলিয়া। ছোট্ট মেয়েটিকে বলেন, ‘আমি যখন তোমার হাত ধরে টানব, তখন সংলাপটি বলবে। আলিয়ার ওমন কৌশলেই মেয়েটি দ্রুত কাজটি শেষ করতে পারে। আলিয়া যেভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল,’ এভাবে আলিয়াকে দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান।

প্রসঙ্গত, আলিয়া অভিনীত  গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়িমুক্তির পরপরই বক্স অফিসে ঝড় তোলে। অভিনেত্রীর অভিনয় দক্ষতা দেখেও নজর কাড়ে দর্শকদের। সিনেমাটি ২১১. কোটি টাকার ব্যবসায়িক সাফল্যের রেকর্ডে পৌঁছে দেয়।