মাহরাম পুরুষ ব্যতীত নারীদের তিন দিন বা তার চেয়ে বেশি দূরের সফর করতে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। |
ওমরাহ
পালন করার সময় পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বেগ থাকে। যেমন ঋতুস্রাবের সময় কী করতে হবে,
একজন নারী মাহরাম ছাড়া ওমরাহ পালন করতে পারবে কিনা। ইহরাম অবস্থায় প্রবেশ করার সময় কী পরতে হবে।
কী পরতে হবে না। এসব বিষয়ে নারীদের ৭টি নির্দেশনা পাওয়া যায়।
সাম্প্রতিক
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ নারীদের মাহরাম ছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি দিয়েছে। ইসলামি দৃষ্টিকোণে নারীদের সাধারণত মাহরাম ছাড়া একা ভ্রমণ করার অনুমতি নেই। সৌদি আরব নারীদের মাহরাম ছাড়া ওমরাহর অনুমতি দিলেও আপনার দেশ থেকে নারীরা মাহরাম ছাড়া ওমরাহ করতে পারবে কী না? এ
বিষয়ে হক্কানি আলেমের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।
নারীরা
ওমরাহ আদায়ে গেলে যে ৭টি বিষয়ে
খেয়াল রাখা জরুরি।
ওমরাহ যাত্রায়
নারীদের
একাকী
ভ্রমণ
মাহরাম
পুরুষ ব্যতীত নারীদের তিন দিন বা তার চেয়ে
বেশি দূরের সফর করতে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। কারণ এই দীর্ঘ সফরে
তার নিজের সম্মান-সতীত্ব রক্ষা করা একটি অপরিহার্য দায়িত্ব। এ ছাড়া কোনো
দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার শিকার
হলে তখন তার সেবা-যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। তখন কোনো মাহরাম পুরুষ না থাকলে সমস্যা
হতে পারে। (আপকে মাসায়েল : ৪/৮০)
নারীদের তালবিয়া
পাঠের
নিয়ম
তালবিয়া
ওমরাহ ও হজ্জের একটি
অপরিহার্য অংশ, যা পুরুষ ও
নারী উভয়েই পাঠ করতে হয়। পুরুষ ওমরাহ পালনকারীরা জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করবে, আর নারীরা নীচু
স্বরে তালবিয়া পাঠ করবে, যেন এটি কেবল সে নিজেই শোনাতে
পায়।
নারীদের ইহরামের
নিয়ম
ওমরাহর
জন্য, পুরুষদের অবশ্যই ইহরামের পোশাক পরতে হবে। এগুলো হলো সাদা দুইটি কাপড়। আর নারীরা তাদের
পুরো দেহ যেন ঢেকে রাখে এমন যেকোনো শালীন পোশাক পরতে পারেন। নারীদের পোষাক পর্দাশীল ও বিনয়ী হওয়া
উচিত। উপরন্তু, নারীদের ইহরাম অবস্থায় পারফিউম, সুগন্ধি, গয়না এবং মেকআপ এড়িয়ে চলতে হবে।
নারীদের সাফা-মাওয়ায়
সায়ি
করার
পদ্ধতি
সাফা
ও মারওয়ার মধ্যে সায়ি সবার করতে হয়। সাফা পাহাড় থেকে সায়ি শুরু করে প্রায় ৫০ মিটার দূরে
সবুজ ফ্লুরোসেন্ট লাইটের দুটি সেট রয়েছে, সবুজ চিহ্নের জায়গাটি দৌড়ে পাড় হতে হয়। এ সবুজ চিহ্নের
জায়গায় পুরুষদের জন্য মাঝারি গতিতে দৌড়ানো সুন্নাত, যেখানে নারীরা দৌড়াবে না। তারা স্বাভাবিক গতিতে চলতে হবে।
তাওয়াফের সময়
নারীদের
রমলের
নিয়ম
তাওয়াফের
সময় যখন কাবা শরিফ সাত বার চক্কর দিতে হয়, তখন প্রথম তিন চক্করে রমল তথা কাঁধ দুলিয়ে দৌড়িয়ে বা দ্রুত চলতে
হয়। তাকেই রমল বলে। নারীরা তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করতে হয় না। তারা
সবগুলো চক্করে সাধারণ গতিতেই চলবে।
হজ ও
ওমরাহয়
ঋতুমতী
নারীদের
করণীয়
হজের
মূল আনুষ্ঠানিকতা পাঁচ দিন। আর ওমরাহ যে
কোনো সময়ই করা যায়। তাই হজে না সম্ভব হলেও
নারীদের উচিত ওমরাহ করতে ওমরাহর সময় ঋতুস্রাব এড়াতে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা। কারণ ওমরাহর বিধি-বিধান পালনের জন্য ঋতুমতী থেকে মুক্ত থাকা জরুরি।
যদি
ঋতুস্রাব হয়, মনে রাখবেন যে হজরত আয়েশা
(রা.)-এরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে আদম কন্যাদের জন্য এটি নির্ধারিত। তাওয়াফ ব্যতীত নারীরা হজের সব বিধি-বিধান
পালন করবে।
চুল কাটা
ও
ছোট
করা
পুরুষ ওমরাহ পালনকারীরা ওমরাহর সব বিধি-বিধান পালন করার পর তাদের মাথা ন্যাড়া করতে হবে। আর নারীরা তাদের চুল হাফ ইঞ্চি পরিমাণ তাদের চুল কেটে নিবে।
0 Comments